• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর, ২০২৩
আপডেট : ২৮ অক্টোবর, ২০২৩



বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

গ্রামীণ কণ্ঠ

 কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনে চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিছু সময় পর পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলটির উদ্বোধন করবেন তিনি। টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক ১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে দেবে। অর্থনীতিকে আরো প্রাণবন্ত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এতে প্রায় অর্ধেক অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

টানেলের নগর প্রান্ত পতেঙ্গায়। নদীর তলদেশ দিয়ে এটি মিলিত হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝ বরাবর এলাকায়। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেলটি পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট। এটি চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বদলে দেবে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হওয়ার পর টানেলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হল ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), টানেলটি ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) দৈর্ঘ্য তৈরি করে এবং এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এটি ১০,৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এর প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে।

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত হবে। চীনের একটি কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেল বোরিং ফেজও উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন