পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তির জায়গা কোনটি? এমন প্রশ্নে ক্রিকেট কম জানা মানুষেরও সবার আগে মাথায় আসার কথা তাদের শক্তিশালী পেস ইউনিটের কথা। তবে আজ যেন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করে এরই মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের পর দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি করার কীর্তিতে নাম লেখাল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
শুক্রবার) বেঙ্গালুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটিতেও হয়েছে আরেকটি রেকর্ড। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২৬ রান। যা বিশ্বকাপে দলটির ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৩ রান ছিল এতদিন সেরা।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ভাইস ক্যাপ্টেন শাদাব খানের বদলে পাকিস্তানের একাদশে জায়গা পাওয়া লেগ স্পিনার উসামা মীর। কুড়িয়ে পাওয়া সুযোগ নিয়ে ঝড় তুলেছেন ওয়ার্নার। ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকেরটিসহ সর্বশেষ চার ওডিআইতে শতক হাঁকিয়েছেন অজি এই ওপেনার।
অন্যদিকে, ওয়ার্নারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শতক হাঁকিয়েছেন মিচেল মার্শ। ৩১ তম ওভারের চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ওয়ার্নার। তার পরের বলেই নেওয়াজের বল বাউন্ডারি ছাড়া করে শতক হাঁকান মার্শ। ১০ চার ও ৬ ছক্কায় বরাবর ১০০ বলে সেঞ্চুরি করেন এই ওপেনার।
মার্শের সেঞ্চুরিতেও হয়েছে রেকর্ড। আজ অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনারের জন্মদিন। বিশ্বকাপে জন্মদিনে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর এই কীর্তি গড়েছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১৩১ রানের অনবদ্য খেলেছিলেন কিউই ব্যাটার।
আপনার মতামত লিখুন :