
প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সামছুল আলম ফিরোজ ও তুহিন আক্তারের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। ফিরোজ ও তুহিন স্বামী স্ত্রী। জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ ও ওয়ারিশ সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে টুমচর জনতা বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধরা। ইউনিয়নের সর্বস্তুরের জনগণের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।শরীফ হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে বসে আছে। দীর্ঘদিন এখানে থেকে তারা শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করেছে। স্বয়ং চেয়ারম্যানও তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন না।
আবু তাহের নামে একজন বলেন, আমার জেলে কার্ড আছে, কিন্তু আমাকে চাল দেয় না। আবার বাবার নাম ভুল লিখে অন্যের কাছ ফিরোজ চাল বিক্রি করে দেয়।
শাহিনুর আক্তার নামে এক নারীর অভিযোগ, তার জন্মনিবন্ধনে জাতীয়তা বাংলাদেশী লেখা। তিনবার ঠিক করতে পরিষদের গেলে ফিরোজ তার কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু ঠিক করে দেয়নি।
বৃদ্ধ আবুল হোসেন বলেন, আমি জেলে। কিন্তু ফিরোজ আমাকে চাল দিচ্ছে না। মেম্বার বললেও সে শুনে না।
ছাফিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী আব্দুল হাশেমের নামে জেল কার্ড আছে। কিন্তু ফিরোজ তা বাদ করে দেয়। পরে মেম্বার আবার ঠিক করে দিয়েছে। এরপরও ফিরোজ চাল দেয় না। আমাদেরটা বাদ দিয়ে একেকজনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে নতুন কার্ড করে দেয়।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বোরহান উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারী ৬৬ জন জেলে রয়েছে। বরাদ্দ না থাকলেও ইসমাইল হোসেন নামে একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফিরোজ নতুন করে নাম সংযোজন করে দিয়েছে। এছাড়া মানুষজন জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও মৃত্যু সনদের জন্য আসলে সরকারি ফি’র চেয়ে দ্বিগুণ টাকা নেয়। প্রায় ৩০০ জনের কাছ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা করে ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে নিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে কার্ড না দিয়ে ৬-৭ হাজার টাকা নিয়ে অন্যদেরকে কার্ড পাইয়ে দিয়েছে।
উদ্যোক্তা শামছুল আলম ফিরোজকে পরিষদে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী উদ্যোক্তা তুহিন আক্তার বলেন, শুক্রবার ইউপি সদস্য বোরহানের সঙ্গে ফিরোজের বাধানুবাদ হয়েছে। এ কারণে বোরহান মেম্বার লোকজন নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তারা লিখিতভাবে জানাতে পারে।
টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন লোলা বলেন, বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে দেখেছি। তবে এরআগে কোন অভিযোগ নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। লিখিতি বা মৌখিক কোন অভিযোগও দেওয়া হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :