• ঢাকা
  • সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট, ২০২৪
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০২৪



লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গ্রামীণ কণ্ঠ

সারোয়ার মিরণ রামগতি প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের রাস্তারহাট মাজহারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা ওলামালীগ নেতা ইসমাইল হোসেনের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকালে মাদ্রাসার ক্যাম্পাস থেকে শতশত শিক্ষার্থী ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ স্থানীয় বান্দেরহাট বাজারে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় মোঃ রাকিব উল্লাহ, মোঃ মাজেদ, মোঃ নোমান উদ্দিন বকুল ও মোঃ মামুনসহ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, রামগতি উপজেলা ওলামালীগ নেতা অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসাইন মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সাথে নারী কেলেঙ্কারীসহ মাদ্রাসায় শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারী নিয়োগে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করেন। মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাবে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন তিনি। এছাড়াও মাদ্রাসার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিজের বাড়ীতে নিয়ে ব্যবহার করেন এ অধ্যক্ষ। আওয়ামীলীগের সরকারের ১৮ বছরে মাদ্রাসাতে নিজের একক আধিপত্য বিস্তার করে সম্পুর্ন একগুঁয়েমি করে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ তছরুফ করেছেন। মাদ্রাসাকে দলীয় অফিসে পরিনত করেছেন তিনি। আর অধ্যক্ষের এসব অনৈতিক কাজের মুল সাপোর্ট দিতেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও মাদরাসার কম্পিউটার অপারেটর মোঃ হারুন।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে প্রিন্সিপাল ইসমাইল ও কম্পিউটার অপারেটর হারুন মাদরাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ইসমাইল ও কম্পিউটার অপারেটর হারুনের পদত্যাগ দাবী করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসব অভিযোগের ভিক্তিতে শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ চাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, মানববন্ধনের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন