লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: টানা বর্ষণের কারণে পানি জমে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি না কমার কারণে নতুন নতুন করে এলাকা সমূহ প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও রামগঞ্জের সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮৫টি সাইক্লোন শেল্টারগুলোও প্রস্তুত রাখার বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান জানান, অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে প্লাবিত এলাকা সমূহে পাঠানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক আমাদের কর্মীরা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো স্লুইস গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। জোয়ারের সময় গেইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা ইউনুছ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, সরকারী হিসেব মতো জেলায় ৬ লাখ ৪ হাজার ৫০০ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন কমলনগর উপজেলায় ২৪ হাজার মে: টন বরাদ্দ দেওয়া দিয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ৪৯০৫ জন আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে। জেলায় ৩২৮০ জন সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছে। ৬৪ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ১০ লাখ ৭০ হাজার নগদ অর্থ ও ৫৭৬ মে: টন জিআর চাউল এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে। ২৩০০ শুকনো খাবার ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন স্থানে খাল দখল বা বাঁধ নির্মাণ করার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বাধ অপসারণ করা শুরু করেছে।
সুরাইয়া জাহান বলেন, লক্ষ্মীপুরের খালগুলোতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এতে পানি নামতে পারছে না। প্রশাসনের উপস্থিতি ও জনগণের সহযোগিতায় অবৈধ বাঁধগুলো কেটে দেওয়া হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের সহায়তায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত চালু রয়েছে। জলাবদ্ধতায় প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :