পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে যাত্রীবাহী নৌকা ও সেনাঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন সেনা ও ৪৯ বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সময় ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মালির সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল রারহৌস এলাকার আবাকইরা ও জরঘইয়ের মধ্যে চলাচলকারী কোমানাভের একটি নৌকায় হামলা চালিয়েছে।
কোমানাভের পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়, নৌকাটির ইঞ্জিন লক্ষ্য করে অন্তত তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট দেশটির বান্দিয়াগারা শহরের কাছে ইয়ারু এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
গত ২৮ মে মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফরমড্ পুলিশ ইউনিটের টহল টিমের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ব্যানএফপিইউ-২, মিনুসমা, মালির তিন সদস্য আহত হন। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের বহনকারী আর্মাড পারসোনেল ক্যারিয়ারটি (এপিসি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত এক দশকে মালির মধ্যাঞ্চল, উত্তর বুরকিনা ফাসো এবং পশ্চিম নাইজারের সীমান্ত যেখানে একত্র হয়েছে সেই সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএলের (আইএসআইএস) সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া থেকে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব নাইজারও। ২০১০ সালে সেখানে বোকো হারামের তৎপরতা শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :