• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩



রায়পুরে গরু ব্যবসায়ীকে মারধর, মেম্বারসহ আসামি ৬

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গরু ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন ও তার ভাই আলাউদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (রায়পুর) আদালতে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন৷ এতে উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ফারুক সর্দারসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এদিকে চাঁদার জন্য আসামিরা জোরপূর্বক সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে ৪ টি অলিখিত স্ট্যাম্পে সই নিয়েছেন। ওই স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধারের জন্য একইদিন আলাউদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সোহরাব সর্দার ও ফারুক সর্দারের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।

বাদীর আইনজীবী ইউছুফ আজম সিদ্দিকী বলেন, ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন ও আলাউদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (রায়পুর) আদালতের বিচারক বেলায়েত হোসেন রায়পুর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া অলিখিত স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধারের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলার চর আবাবিল গ্রামের সাইজ উদ্দিন সর্দার, জলিল ঢালী, রব মল্লিক ও উম্মত আলী।

এজাহার সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী সালাহ উদ্দিন উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের গাজীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী। স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে তার মাংসের দোকান রয়েছে। নিজের নামে ইউপি সদস্য ফারুক ‘উলফা ফারুক বাহিনী’ গঠন করে হায়দরগঞ্জ বাজারে রাজত্ব করে আসছে। গত ৩০ জুন রাতে বাড়িতে যাওয়ার পথে ফারুকের নির্দেশে আসামিরা সালাহ উদ্দিনকে ঘিরে ফেলে। এসময় ব্যবসা করতে হলে তাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবি জানায় তারা। এতে রাজি না হওয়ায় ৩ জুলাই রাতে ওই আসামিরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। ভয়ে একদিন সময় চেয়ে তিনি ঢাকায় আত্মগোপনে যান। ২৭ আগস্ট সালাহ উদ্দিনের ভাই আলাউদ্দিন প্রয়োজনে হায়দরগঞ্জ বাজারে যায়। সেখানে আসামিরা তাকে আটক করে ফারুকের টর্চার সেলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল যান বাদী সুমি ও তার শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম। তাদের সামনেই আসামিরা আলাউদ্দিনকে মারধর করে। একপর্যায়ে ৪ টি অলিখিত স্ট্যাম্পে সুমি, আলাউদ্দিনের সই ও আনোয়ারার টিপসই নেওয়া হয়।

বাদী আরো জানায়, অন্যদিকে সালাহ উদ্দিনের কাছে টাকা চেয়ে ফারুক মোবাইলফোনে হুমকি দেয়। এতে ৩১ আগস্ট ঢাকা থেকে তিনি বাড়িতে এসে রাতে হায়দরগঞ্জের বাংলাবাজারে যান। সেখানে আসামিরা তাকে আটক করে ফারুকের আড্ডাখানায় নিয়ে যায়৷ সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে তার পকেটে থাকা ২ লাখ ৬ হাজার টাকা ফারুক নিয়ে যায়। পরে পাশ্ববর্তী মেঘনানদীর পাড় এলাকায় নিয়েও তাকে মারধর করা হয়।

ইউপি সদস্য ফারুক সর্দার বলেন, বাদীর অভিযোগ সত্য নয়। আমি এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।এলাকায় খবর নিলেই জানতে পারবেন।

রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামছুল আরেফিন বলেন, আদালতের নির্দেশনার কপি হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর