• ঢাকা
  • বুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট, ২০২৩
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৩



আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন, প্রশ্ন কাদেরের

গ্রামীণ কণ্ঠ

এ বছর ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, কোথাও কারও কোনো কথা নেই। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে মনে হতে পারে আওয়ামী লীগের পাশে আছে ভারত, আর বিএনপির পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন এ অঞ্চলকে ঘিরে বিভিন্ন দেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা স্বাভাবিক। ওদিকে আবার চীনও রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইকুয়েডরে নির্বাচন হচ্ছে, আর্জেন্টিনাতেও নির্বাচন হচ্ছে। চলতি বছর ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও কারও কোনো কথা নেই। কোথাও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনোকিছু নেই। ইকুয়েডরে তো নির্বাচনী প্রার্থীকে মেরে ফেলেছে। এসব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? এর কারণটা আসলে কী আমরা তা বুঝি না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের নিয়ম ও সংবিধান রয়েছে। দুনিয়ার অন্য দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়, আমরাও এর বাইরে যাচ্ছি না।’

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুগত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। ভারত নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে। আমাদের কখনো বলেনি যে আপনারা নির্বাচনে এভাবে করুন কিংবা সেভাবে করুন কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করুন। এসব কথা যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দিনগুলো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে ও ব্যক্তি জীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য নয়। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রম করা যায়। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারব।’

বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশের বিষয় নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে বারণ করেছে ভারত। আবার বিএনপি বলছে যে, ভারত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের মতো বলুক, আমরা আমাদের কাজ করব।’

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা কি আমাদের কারণেই হচ্ছে? এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার আগেই অনেকে চোখ কচলাতে কচলাতে দূতাবাসে ছুটে যান। এটা তো আমরা করি না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের কাছে সময় চেয়েছে, আমরা তাদের সময় দিয়েছি। আমরা রবাহূতের মতো সেখানে যায়নি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সে কারণে আমরা দাওয়াতে গিয়েছি ও কথাবার্তা বলেছি। আমি স্পেসিফিকলি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম যে, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আপনাদের মতামত চাই। তিনি জানিয়েছেন এসব বিষয়ে তাদের কোনো মতামত নেই।’

আরও পড়ুন