• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২৩
আপডেট : ৯ আগস্ট, ২০২৩



ফেনীতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৫ গ্রাম, পানির নিচে ধান-সবজির খেত

গ্রামীণ কণ্ঠ

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার গ্রামীণ সড়ক, কৃষি ও মৎস্যখাত। এতে ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।


বুধবার (৯ আগস্ট) দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এই দৃশ্য দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থান ভেঙে উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, কিসমত বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, জগৎপুর, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, বনিকপাড়াসহ অন্তত ১৫ গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ সময় নিচু স্থানের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। চলতি বর্ষা মৌসুমে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ২০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ইতোমধ্যে মুহুরী নদীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর ও উত্তর বরইয়া অংশে অন্তত ১০ মিটার করে ভেঙে গেছে।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানিতে দুই উপজেলার ৩৭৫ পুকুর ও ঘেরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ফুলগাজীতে ৩০০ হেক্টর ও পরশুরামে ১৬৫ হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও তলিয়ে গেছে সবজি খেত।

ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার জানান, এই এলাকার মানুষ স্থায়ী সমাধানের জন্য নদী খনন ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ চায়।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আমরা আছি। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মদ শাহীনা আক্তার জানান, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জন্য দুই লাখ টাকা ও সাড়ে তিন টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন