স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ৪ আগষ্ট তারিখের যে তথ্য প্রচার করে তাতে দেখানো হয় ওই দিন ২২ জন নতুন রোগীসহ বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। জেলা ভিত্তিক ডেঙ্গুর রোগীর এসংখ্যাটি চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মধ্যে ২য়। একই বিভাগের সবচেয়ে বেশী রোগীর জেলা চাঁদপুরে ১৮২ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের এ তথ্যের মিল রয়েছে লক্ষ্মীপুরের গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন চিত্রে । জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গ্রামের সকল ফার্মেসীতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। ফার্মেসীর গ্রাম্য ডাক্তারা রোগীর অবস্থা বুঝে তাদের কে নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে, গ্রাম্য পল্লী চিকিৎসক মোঃ টিপু সুলতান। একই চিত্র রয়েছে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে।
শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে ৯২ জন । এর মধ্যে ৮০ জনই ডেঙ্গু রোগী । ১শ শয্যা বিশিষ্ট লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানিয়েছে, ১শ শয্যার হাসাপাতালটিতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশেষ সেবা পাওয়ার বদলে সাধারণ রোগীদের সাথেই ঠাঁই হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ৫ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা জানিয়েছে গত সপ্তাহে বিভিন্ন উপজেলায় ডেঙ্গুর রোগীর চাপ বেশি ছিল। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।
কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা ডাঃ আবু তাহের জানিয়েছেন, ৫০ শয্যার কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শনিবার দুপুর পর্যন্ত শুধু ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছে ৪৩ জন। একই চিত্র জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।
জেলা স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে ৪ আগষ্ট পর্যন্ত ৯শ ৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে শুধু জুলাই মাসেই ভর্তি হয়েছিল প্রায় ৭শ জন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়া শুরু হয়েছিল। আগস্টে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রথম দিন থেকেই আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে তিনটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু কর্নারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখন সাধারণ রোগীদের সাথেও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :