• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫ আগস্ট, ২০২৩
আপডেট : ৫ আগস্ট, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে জাল দলিলের মামলায় পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে জাল দলিল তৈরি করে ব্যবসায়ী মহিবুল মান্নান ইমরানদের জমি দখলের মামলায় মো. নুরনবী (৫৫) নামে এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নুরনবী পূর্ব বশিকপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বাদী ইমরান একই এলাকার মজিবুল মান্নানের ছেলে ও পেশায় ব্যবসায়ী।

আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছর ২১ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি নুরনবী ও নুরুল হুদা জাল স্বাক্ষর দিয়ে দাতার নামের স্থানে বাদী ইমরানের বাবার নাম উল্লেখ করে দলিল তৈরি করেন। এতে তারা ক্রেতা সেজে জাল দলিল তৈরি করে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আবেদন করে নামজারি করে নেয়। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

এর আগে ১৬ মে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর আদালতের বিচারক এ মামলার আসামি নুরনবী ও নুরুল হুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রায় আড়াই পলাতক থাকার পর আসামি নুরনবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি নুরনবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সৌপর্দের প্রস্তুতি চলছে। এ মামলায় পলাতক আসামি নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মামলা সূত্র জানায়, মান্নানদের ১৮ শতাংশ দখলীয় জমি নিয়ে নুরনবীদের সঙ্গে ১০-১২ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে তারা মান্নাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করেছে। এতে ব্যর্থ হয়ে মান্নানের বাবার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তারা দুটি জাল দলিল তৈরি করে। এ দুটি দলিলে ৩০ শতাংশ জমির মালিকানা উল্লেখ করে অভিযুক্তরা। জমা খারিজের ঘটনা জানতে পেরে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিলে জাল দলিলের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে গত বছরের ৭ নভেম্বর ইমরান বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরে আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন