পাকিস্তানের বহুল আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় আদালত তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেওয়ার পরপরই দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের রায় ঘোষণার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, আদালতের রায়ের পর ইমরান খানকে তার লাহোরের বাসভবন জামান পার্ক থেকে পাঞ্জাব পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করেছে।
ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পাঞ্জাব শাখা এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় ইমরানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, ‘ইমরান খানকে কোট লোকপত জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
এর আগে, দণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইমরানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া তাকে এক লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়। রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানার মালামাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এরপর গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে, দণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইমরানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া তাকে এক লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়। রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানার মালামাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এরপর গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার আজকের শুনানিতে রায় দিয়েছেন, তোশাখানা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য এবং এটি প্রমাণিত হয়েছে।
বিচারক বলেছেন, ‘ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে তোশাখানার উপহার নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ নির্বাচনী ১৭৪ ধারার ওপর ভিত্তি করে করে ইমরানকে তিন বছরের জেল দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, রায়টি কার্যকরে এটির একটি কপি যেন ইসলামাবাদ পুলিশ প্রধানের কাছে পাঠানো হয়।
আজকের শুনানির আগে আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর অসংখ্য সদস্যকে মোতায়েন করা হয়। এছাড়া আদালতের ভেতর শুধুমাত্র আইনজীবী ছাড়া আরও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও এই রায় ঘোষণার সময় ইমরান খান ও তার আইনজীবী কেউই উপস্থিত ছিলেন না।
সূত্র: দ্য ডন।
আপনার মতামত লিখুন :