• ঢাকা
  • সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪ আগস্ট, ২০২৩
আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০২৩



৪ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল

গ্রামীণ কণ্ঠ

অবশেষে চার দিন বন্ধ থাকার পর ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ইলিশা ফেরিঘাটের লো-ওয়াটার পন্টুন থেকে দুইটি ফেরি মালবাহী ট্রাক ও বাস নিয়ে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে এখনো হাই-ওয়াটার পন্টুনটি মেরামত না হওয়ায় জোয়ারের সময় ফেরি চলাচল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) ইলিশা ঘাটের কর্মকর্তারা। এদিকে চার দিন ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষমাণ গাড়ির চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গত চার দিনেও পুরোপুরি ঘাটটি চালু করতে না পারায় বিআইডাব্লিউটিএর গাফিলতিকে দায়ী করেছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরের দিকে প্রচণ্ড ঝড় ও লঞ্চের ধাক্কায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের দুইটি পন্টুন ঘাট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ওই দিন থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোলা ও লক্ষ্মীপুরের দুই পাড়ে এক থেকে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত অপেক্ষমাণ গাড়ির জট সৃষ্টি হয়।

এর পরদিন বরিশাল থেকে বিআইডাব্লিউটিএর লোকজন এসে ক্ষতিগ্রস্ত পন্টুন ও সংযোগ সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেন। কিন্তু গত তিন দিনে তারা একটি পন্টুন মেরামত করলে ফেরি চলাচল চাল হয়। বাকি পন্টুনটি মেরামতের জন্য আরো দু-এক দিন সময় লাগবে বলে জানান ঘাটে কাজ করা কর্মকর্তারা।
ঘাটে অপেক্ষমাণ ট্রাকচালকরা জানান, তারা অনেকে কাঁচামালসহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য নিয়ে গত দু-তিন দিন ধরে ঘাটে অপেক্ষা করছেন।

কিন্তু কোনোভাবে পারাপার হতে না পেরে তাদের ট্রাকে থাকা মালামাল নষ্ট হওয়ার পথে। এ ছাড়া এ ঘাটে ট্রাক রাখার কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় সড়কের পাশে ট্রাক রেখে কষ্টে দিন পার করছেন চালকরা। বিআইডাব্লিউটিএর মেরামতকাজে ধীরগতির কারণে তাদের কষ্ট আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারা আরো অভিযোগ করে জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের মধ্যে এখন সবচেয়ে ব্যস্ত ও দীর্ঘতম ফেরিঘাট হলো ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট। কিন্তু সে অনুযায়ী এ রুটটিতে বিআইডাব্লিউটিএর তেমন কোনো তদারকি নেই।

এ ঘাট মেঘনা নদীর মোহনায় হওয়ায় ঘাটটিও সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কিন্তু সে অনুযায়ী ঘাটটির প্রতি কর্তৃপক্ষ তেমন নজর দেয় না। তাই সামান্য ঝড়েই ঘাটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এ রুটে চলাচলকারী ট্রাকচালকদের। তাই ঘাটটি ভালোভাবে মেরামত করা ও সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানান চালকরা। একই সঙ্গে একটি ট্রাক স্ট্যান্ডেরও দাবি করেন তারা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) ভোলার ইলিশা ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান জানান, গত তিন দিন অনেক চেষ্টার পর লো-ওয়াটার ঘাটটি দিয়ে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে। তবে জোয়ারের সময় এ ঘাট দিয়ে ফেরি ওঠানামা করতে পারবে না। তখন ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে ঘাটে অপেক্ষমাণ কাঁচামাল ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন থাকলেও নষ্ট হওয়ার মতো কোনো মালামালের গাড়ি নেই।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. সেলিম আহমেদ জানান, গত বুধবার থেকে চেষ্টা চালিয়ে একটি ঘাট মেরামত করা গেছে। সে ঘাটটি দিয়ে ইতিমধ্যে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। বাকি ঘাটটি দু-এক দিনের মধ্যে মেরামত করা যাবে। তবে জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে মেরামতকাজে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

আরও পড়ুন