• ঢাকা
  • সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই, ২০২৩
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৩



কমলনগরে আঙ্গুলের খোঁচাতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ ঢালাই

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নির্মাণের দুই দিন পরই উঠে যাচ্ছে পাকা সড়কের পিচ ঢালাই। উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের আঁধারঘর-মিয়াপাড়া এক হাজার মিটারের এই সড়কটির পিচ ঢালাই আঙ্গুলের খোঁচাতেই গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে। কাজের দায়িত্বে থাকা মেসার্স জেডনি এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে গতকাল সকালে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল আনোয়ার।

 

উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে আঁধারঘর- মিয়াপাড়া সড়কের এক হাজার মিটার রাস্তা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অধীনে ৮৪ লাখ ৯ হাজার ৬৮৫ টাকা মূল্যের পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ওই দরপত্রে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করলেও ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার দুইশ’ টকায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মেসার্স ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল কার্যাদেশ পায়।

 

ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেরা কাজ না করে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে মেসার্স জেডনি এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রি করে দেয়। জেডনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন কাজ না করে এ পর্যন্ত দু’বার মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ তিনি রমজান আলী নামে এক ঠিকাদারকে দায়িত্ব দিয়ে দেশের বাহিরে চলে যান। রমজান আলী চার দিন আগ থেকে নিম্নমানের পাথর বিটুমিন কম দিয়ে কাজ শুরু করে। এতে শুরু থেকে সড়কে পিচ ঢালাই উঠতে থাকে।

প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দিয়ে দায়সারাভাবে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে চেষ্টা করলে স্থানীয়া বাধা দেয়।

হাজিরহাট ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন আরাফাত জানান, রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দেয়া ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে স্থানীয়রা বাধা দেন। এবং সরকারের বরাদ্দের টাকা সঠিকভাবে তদারকি করে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সড়কের কাজ শেষ করার দাবি করেন এলাকাবাসী।

 

এ বিষয়ে জেডনি এন্টারপ্রাইজের পক্ষে কাজ তদারককারী মো. রমজান আলী জানান, কাজ শুরু থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। আমাদের কোনো অনিয়ম হয়নি।

 

কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল আনোয়ার জানান, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এ সমস্যা হয়েছে। আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। সঠিকভাবে কাজ শেষ করা ছাড়া তাদের বিল দেয়া হবে না।

আরও পড়ুন