লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভূমিহীনকে বন্দোবস্ত দেওয়া ৬০ শতাংশ জমি আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই জমি স্থায়ীভাবে দখলে রাখার জন্য ভূমিহীন রতন কবিরাজের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মনির মোল্লা উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। অভিযোগকারী রতন একই ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মৃত শামছুল হক কবিরাজের ছেলে। জেলা পুলিশ থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুপুরে আকবর হোসেন বলেন, অভিযোগটি আমাকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে।

আমি ঘটনাস্থল এসেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, ভূমিহীন হওয়ায় আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রতন ও তার স্ত্রী রিনা বেগমকে সরকার চরকাছিয়া মৌজায় ৬০ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দিয়েছে। কিন্তু ওই জমি তারা এখনো দখলে নিতে পারেনি।

জমিটি আওয়ামী লীগ নেতা মনির মোল্লা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। রতন জমি বুঝে পেতে একাধিকবার মনির কাছে যায়। কিন্তু মনির তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ১৯ জুলাই দুপুরে মোল্লারহাট এলাকায় রতনের ছেলে শরিফ হোসেন কবিরাজ রিকশা নিয়ে যান। সেখানেই মনির ও তার সহযোগী মহিন উদ্দিন গাজী অটােরিকশাটি নিয়ে যায়।

এসময় বলা হয়, অটোরিকশা নিতে হলে তার বাবাকে (রতন) অলিখিত স্ট্যাম্পে সই দিতে হবে। রতন কবিরাজ বলেন, সরকার আমাদেরকে জমি দিয়েছে। কিন্তু এখনো ওই জমি দখল বুঝে পাইনি। উল্টো জমিটি নিয়ে যেতে মনির মোল্লা হুমকি দিচ্ছে। এখন উপার্জনের একমাত্র অটোরিকশাটিও আটকে রেখেছে। এটি নিতে হলে অলিখিত স্ট্যাম্পে সই দিতে বলছেন। আমি তার কাছ থেকে টাকা নেইনি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন মোল্লা বলেন, অটোরিকশাটি কেনার সময় রতন ১ লাখ টাকা ধার নিলেও এখনো দেননি। এজন্যই অটোরিকশা আটকে রেখেছি। জমি দখলের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি