ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে হু হু করে। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুও পৌনে দু’শ ছুঁইছুঁই। চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরণ সক্রিয় রয়েছে। রোগী যদি একই সাথে একাধিক ধরনে আক্রান্ত হয় তবে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। এদিকে, কীটতত্ত¡বিদরা বলছেন, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ঘাটতি না থাকলে পরিস্থিতি এই পর্যায়ে আসতো না। এখন সবচেয়ে জরুরী মশা নিয়ন্ত্রণ করা।
স্মরণকালের মধ্যে এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থার ডেঙ্গু পরিস্থিতি। রাজধানীর মুগদা, ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা, বিএসএমএমইউসহ সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগির ভিড়। গত সাত মাসে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে রোগি খুব তাড়াতাড়ি দূর্বল হয়ে পড়ছে। এবার ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরণের মধ্যে একটি বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে, এই ধরণ বিশ্লেষণ শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য। রোগী যে ধরণেই আক্রান্ত হোক, উপসর্গ এবং চিকিৎসা একই।
তবে, রোগী কখনো কখনো একসাথে দুই বা তিন ধরণের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগির চিকিৎসা জটিল হয়ে যায়।
ডেঙ্গু মোকাবেলার স্বার্থে এখনই এই ধরণগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন কীটতত্ত¡বিদরা। সেই সাথে মশা নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ায় কোথাও একটা ঘাটতি রয়ে গেছে বলে মনে করেন তারা।
শুধু বর্ষা মৌসুমে নয়, সারাবছরই জোরালোভাবে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজটি করতে হবে বলে জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :