নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ফাতেমা তুজ জোহরা মিতু (২৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী এমরান হোসেন রাকিবের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজি বাড়ি থেকে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত রাকিব একই বাড়ির বাসিন্দা ও আবুধাবি প্রবাসী। মিতু একই বাড়ির গ্রাম্য চিকিৎসক মাজহারুল হকের মেয়ে।
মিতুর পরিবার জানায়, ৮ বছর আগে রাকিবের সঙ্গে মিতুর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫ বছরের একটি মেয়ে এবং ৪ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। রাকিব দেশে আসার পর প্রায়ই মিতুকে নির্যাতন করতো। তাকে বাড়ি বের হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতো। সন্তানদের সামনেই মিতুকে মারধর করতো। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিতু আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় স্বামীর স্বজনরা। পরে তারা গলায় ফাঁস লাগানো মিতুকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিতুর মা মাহমুদা বেগম বুলবুলি সাংবাদিকদের বলেন, রাকিব সন্তানদের সামনেই মিতুকে মারধর করতো। তার নির্যাতনের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর না হয় আমার মেয়েকে মেরে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি মিতুর স্বামী এমরান হোসেন রাকিব।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :