নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শোক সভায় আসার পথে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে কৃষকদল।
পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তবে পুলিশ গ্রেফতারদের পরিচয় জানায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের কৃষকদল নেতা সজিব হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির লক্ষ্মীপুরের বাসভবন প্রাঙ্গণে শোক ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় আসার পথে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আটকদের পুলিশের দায়েরকৃত দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় বুধবার রাতে চারটি পৃথক মামলা করা হয়। সজিবের মেঝো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দায়িত্বরত কাজে বাধা ও পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :