নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। এছাড়া সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার পৌর শহরের মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার সিঁড়ির রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।
জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সদর (পূর্ব) উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বাবু জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রথমে কলেজ রোড এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এরপর রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। এতে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইব্রাহিম গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, হাসপাতালে আহত অবস্থায় অনেক রোগী এসেছেন। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধও আছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের লোকজনের ওপর বিভিন্ন পয়েন্টে হামলা করেছে। পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যুবদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের ডিআইওয়ান একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা শহরের ব্রিজ এলাকায় ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে আছি। আধুনিক হাসপাতালের সামনে কী হয়েছে তা বলতে পারি না।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :