• ঢাকা
  • সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০২৩
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২৩



করপাড়ায় মেম্বারের ইয়াবা কারবার, খাচ্ছেন জেলের ভাত

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম ওরফে টেলুকে ইয়াবা মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ রায় দেন।

সোমবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬(১) এর টেবিল ১০ (ক) ধারায় আসামি কালাম দোষী প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলায়েত হোসেন আসামিকে সাজা প্রদান করে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আবুল কালাম টেলু দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবার করে আসছেন। করপাড়া ও আশপাশের ইউনিয়নগুলোতে তিনি ইয়াবা বাণিজ্য ছাড়াও ডাকাতিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। সরাসরি এবং অনুসারীদের দিয়ে তিনি এসব করাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে রামগঞ্জ, নোয়াখালীর চাটখিলসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৫ টি মামলা রয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত কালাম রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়া গ্রামের আরব আলী দরবেশ বাড়ির মৃত আবদুল মন্তাজের ছেলে। তিনি করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর এলাকার পালের বাড়ির সামনে রামগঞ্জ-হাজিগঞ্জ সড়কে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় দাস ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবুল কালাম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে সাদা পলিথিনে মোড়ানে ১৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। একইদিন এসআই সঞ্জয় দাস বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় কালামের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাছের আদালতে কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম মির্জা বলেন, ইয়াবা মামলায় কালামের সাজা হয়েছে বলে শুনেছি। এ ধরণের জনপ্রতিনিধি হওয়া সমাজ ও দেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। তার সাজার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

আরও পড়ুন