নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু আনা বেড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার একটি প্রভাবশালী মহল এই অবৈধ বাণিজ্য চালাচ্ছে। এতে সরকার বড় অংকের রাজস্ব আদায় থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি দেশের কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে চলে যাচ্ছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে। যার মধ্যে ঘুমধুম, জামছড়ি, জারুলিয়াছড়ি, আশারতলী, ফুলতলী ও দোছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে চোরাই পথে আসছে মিয়ানমারের গরু। এই সীমান্ত দিয়ে নিয়মিতই গরু চোরাচালান হয়। চোরাকারবারীরা পাহাড়ী পথ দিয়ে গরুগুলো নিয়ে যায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে।
স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই গরু পাচার চক্রের কোন তথ্য নেই। স্থানীয়রা বলছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলায় শতাধিক প্রভাবশালী চোরাকারবারী রয়েছে। এসব ব্যক্তি প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। গরু পাচারের কোন তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে দিলে হুমকি ধামকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চোরাই পথে গরু আনতে বিদেশে টাকা পাচার আর সিন্ডিকেটের দাপটে শঙ্কিত স্থানীয় নাগরিক সমাজ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামেন শর্মা জানালেন, চোরাচালান বন্ধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযান চলছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে পাচার করা গরু আটক করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :