• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৩
আপডেট : ৯ জুলাই, ২০২৩



প্রেমের টানে পাকিস্তানি তরুণী ভারতে, অতঃপর…

গ্রামীণ কণ্ঠ

অবশেষে প্রেমের টানে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করা পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে তার ভারতীয় স্বামী শচীন মীনাও জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।

সীমা ও শচীন এবার তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাইছেন। প্রেমের জন্য নিজের ধর্ম ত্যাগেও আপত্তি নেই সীমার। তিনি এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমার স্বামী একজন হিন্দু, তাই আমিও একজন হিন্দু। আর আমার মনে হয় আমি এখন একজন ভারতীয়ও।’

মুক্তির কথা বলতে গিয়ে সীমা বলেন, ‘(জামিনের) খবরটা শুনে আমি আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম কয়েক মাস জেলে থাকব।’

এদিকে সৌদি আরব থেকে ভিডিওবার্তায় সীমার স্বামী গোলাম হায়দার ভারত সরকারের কাছে তার স্ত্রীর সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে সাহায্য চেয়েছেন। তবে সীমা সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি গোলাম হায়দারের কাছে ফিরে যেতে চান না। পাকিস্তানে ফিরে গেলে তার জীবনের প্রতি হুমকিও রয়েছে।

এর আগে সীমাকে তার ৪ সন্তান নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগে ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে শচীনকেও অবৈধ অভিবাসী আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।

এই জুটির প্রেম এরই মধ্যে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে বলিউডের চলচ্চিত্রের মতোই চমকপ্রদ বলছেন।

করোনাভাইরাস মহামারি চলার সময় মোবাইলে জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটল রয়েল গেম ‘পাবজি মোবাইল’ খেলতে গিয়ে তাদের পরিচয় হয়। সীমার বয়স ৩০ বছর ও শচীনের বয়স ২৫। গত মার্চে নেপালে তারা বিয়ে করেন। সেটিই ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।

প্রথম সাক্ষাতের বিষয়ে সীমা বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রা ছিল। আমি নিজেও খুব ভয় পেয়েছিলাম। প্রথমে আমি করাচি থেকে দুবাই যাই, সেখানে ১১ ঘণ্টা ট্রানজিটে ঘুমাতে পারিনি। তারপর আমরা নেপালে উড়ে যাই। অবশেষে পোখারায় শচীনের সঙ্গে আমার দেখা হয়।’

এরপর তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং শচীন ভারতে ফিরে যান। দেশে ফিরে তিনি ১২ লাখ রুপিতে পাকিস্তানে নিজের প্লট বিক্রি করেন ও ৪ সন্তান নিয়ে নেপালের ভিসা জোগাড় করেন।

মে মাসে তিনি আবারও দুবাই হয়ে নেপালের পোখারায় আসেন। সেখানে তিনি ও শচীন বেশ কিছুটা সময় কাটান। পরে কাঠমান্ডু থেকে তিনি দিল্লির বাসে ওঠেন। পরে গ্রেটার নয়াডায় শচীন তার পাকিস্তানি পরিচয় গোপন রেখে একটি ভাড়া বাড়ির ব্যবস্থা করেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে।

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এখন সীমা ভারতে থেকে যাওয়ার জন্য তার কাগজপত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করতে পারবেন, যেহেতু তার স্বামী একজন ভারতীয়।

 

সূত্র : এনডিটিভি

আরও পড়ুন