নিজস্ব সংবাদদাতা: জামালপুরের বাংলানিউজের প্রতিনিধি সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কামাল হোসেন, একিউএম শাহাবুদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম স্বপন, মাজহারুল আনোয়ার টিপু, কাজল কায়েস, সানা উল্লাহ সানু, নাজিম উদ্দিন রানা ও নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর দুস্কৃতিকারী হামলে পড়ে। জামালপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আলম বাবুর অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নাদিম হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অতীত থেকেই সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়ে আসছে। আর কত প্রতিবাদ করবো। এ নির্যাতন কবে বন্ধ হবে। আমরাতো দেশের মানুষের জন্য কাজ করে। সাংবাদিকরা কখনোই দেশবিরোধী কাজ করে না। আর কোন সাংবাদিক ভাইকে হত্যার শিকার হতে দেখতে চাই না। সাংবাদিককে হত্যা করলেই সংবাদ করা বন্ধ হয়ে যাবে না।
লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাদিম হত্যার মূল হোতাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে লক্ষ্মীপুর থেকে মানববন্ধন ও কলম বিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এ নিয়ে সংবাদ করেন গোলাম রাব্বানী নাদিম। পরে ১৪ মে তার স্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আরও একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ২০ মে সাবিনা ইয়াসমিন তার স্বামী বাবুকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার অথবা পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। এ নিয়েও সংবাদ করেন নাদিম। এর আগে গত ১৪ মে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে জামালপুরের নাদিমসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। ১৪ জুন আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। অভিযুক্ত বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আপনার মতামত লিখুন :