• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭ জুন, ২০২৩
আপডেট : ৭ জুন, ২০২৩



সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৫

গ্রামীণ কণ্ঠ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (৭ জুন) সকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নাজিরবাজারের কুতুবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

স্বজনদের আহাজারিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৈরি হয়েছে হৃদয়বিদারক এক দৃশ্য। বেপরোয়া গতির কারণেই এ দুর্ঘটনা বলে ধারণা করছে পুলিশ।

 

জানা গেছে, আলুবাহী একটি ট্রাক মুন্সীগঞ্জ থেকে সিলেটের দিকে যাচ্ছিল। আর অতিরিক্ত নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী দ্রুতগতির একটি পিকআপ ওসমানী নগরের তাজপুর যাচ্ছিল। পথে কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে পিকআপটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

 

নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার আলীনগরের শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৫৫), নেত্রকোণার বারহাট্টা এলাকার মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ হোসেন (৪০), সুনামগঞ্জের দিরাই ভাটিপাড়ার সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. সৈয়ব আলী (২৭), একই এলাকার বাদশা মিয়া (২৫), দিরাই মধুপুর গ্রামের সুনাই মিয়ার ছেলে সাধু মিয়া (৪০), দিরাই ভাটিপাড়ার মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাবনগাওয়ের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহীন মিয়া (৪০), একই উপজেলার মুরাদপুরের হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৬), সুনামগঞ্জ দিরাই ভাটিপাড়ার মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নুর (৬০), শান্তিগঞ্জ তলের বনত গ্রামের মৃত আমান উল্লাহ তালুকদারের ছেলে আওলাদ হোসেন তালুকদার (৫০), সুনামগঞ্জের দিরাই পাতাইয়া কাইম গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে একলিম মিয়া (৫০), একই উপজেলার গছিয়া গ্রামের বারিক উল্লাহর ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫) ও সিলেট নগরের ৬নং ওয়ার্ডের বাদামবাগিচা ১নং সড়কের ৫৯ নং বাসার আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৩)।

 

এর আগে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দোহা পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে আসা একটি ট্রাক ও সিলেট থেকেআসা শ্রমিকবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন এবং অপর তিনজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন।

 

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ৭টি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায় এবং হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

 

সিলেট ফায়ার সার্ভিস সিলেটের সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, নির্মাণ শ্রমিক বহনকারী পিকআপ ভ্যানটি ওসমানী নগরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে নাজিরবাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র বিপরীতগামী মাল বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর শ্রমিক বহনকারী পিকআপটি রাস্তার পাশে পড়ে যায় এবং ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

আরও পড়ুন