• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩১ মে, ২০২৩
আপডেট : ৩১ মে, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যায় জাহানারা বেগম (৫১) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, রায়ের সময় আসামি জাহানারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভিকটিম মিলন ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহানারা সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারি গাছের সঙ্গে হাত-বাঁধা ও গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মিলনের মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন মাহবুব (২১) বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় তখন পুলিশ নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, মিলনের সঙ্গে তার ৩৫ বছর সংসার জীবন অতিক্রম করেছেন। বিয়ের পর থেকে মিলন অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। খিটখিটে স্বভাবের মিলন বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করতেন। সংসারে তার মন ছিল না। নিজের খেয়ালখুশি মতো চলতো মিলন। এতে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকতো। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।

ঘটনার সময় রমজান মাস ছিল। এতে রমজানের শেষ ১০ দিন মিলনকে তিনি মসজিদে এতেকাফে বসতে বলেন। এনিয়ে মিলন তাকে গালমন্দ করে। এটি তিনি সহ্য করতে পারেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিলনকে ঘরের পেছনের বাগানে নিয়ে সুপারি গাছের সঙ্গে গরুর রশি দিয়ে হাত বেঁধে পেলে। পরে অন্য একটি রশি গলায় পেঁচিয়ে তিনি মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরদিন সকালে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি জানান। ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে দুর্বৃত্তরা মিলনকে হত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।

২০২২ সালের ১৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল সরকার আসামি জাহানারার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনার ১৩ মাসের মাথায় আদালত জাহানারা বেগমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আরও পড়ুন