নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রবাসী স্বামী মো. সুমনের বিরুদ্ধে স্ত্রী শারমিন আক্তার শারমিনকে (২৬) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শারমিন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সোমবার (৮ মে) দুপুরে সদর হাসপাতালে মরদেহ ফেলে রেখে স্বামী পালিয়ে গেছেন।
নিহত শারমিনের পরিবারের অভিযোগ, সুমন ও তাঁর মা খুকু মনি কারণে-অকারণে শারমিনকে নির্যাতন করতে। তাঁদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো। এর জের ধরেই সুমন ও তাঁর মা খুকু শ্বাসরোধে শারমিনকে হত্যা করে।
শারমিন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার এলাকার চরমনসা গ্রামের মো. তোফায়েলের মেয়ে। তাঁর স্বামীর বাড়ি একই ইউনিয়নের ছটকির সাঁকো বাজার সংলগ্ন আমরি এলাকায়।
নিহতের পরিবার জানায়, ৯ বছর আগে ওমান প্রবাসী সুমনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শারমিনের বিয়ে হয়। তাঁদের উম্মে তায়বা (৭) নামে এক মেয়ে রয়েছে। শারমিনের শ্বশুরের মৃত্যুর পর শাশুড়ী খুকু মনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে এ বাড়িতেই থাকে। এতে সুমনের অনুপস্থিতিতে শ্বাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। তিন মাস আগে সুমন ছুটিতে বাড়িতে আসে। সুমনও শারমিনের সঙ্গে কারণে-অকারণে কলহ শুরু করে।
শারমিনের ভাই মো. হেলাল বলেন, দুপুরে সুমন একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে শারমিনকে নিয়ে হাসপাতালে আসে। তখন তিনি জানায়, আমার বোন অসুস্থ। আমি হাসপাতালে আসার আগেই শারমিনকে ফেলে রেখে সুমন পালিয়ে যায়। আমি এসে শারমিনকে মৃত দেখতে পাই। পরে শারমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছে, সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। স্বামী ও শ্বাশুড়ি তাঁকে হত্যা করেছে।
স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে স্বামী সুমন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আম পাড়াকে কেন্দ্র করে শারমিন গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
আপনার মতামত লিখুন :