• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ মে, ২০২৩
আপডেট : ৮ মে, ২০২৩



তালগাছ উপড়ে ফেলায় কলাপাড়ার চেয়ারম্যান-মেম্বারকে তলব

গ্রামীণ কণ্ঠ

ঢাকা: সড়ক নির্মাণ করার সময় অন্তত ৩০টি তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এক ওয়ার্ড সদস্যকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর রোববার (০৭ মে) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ. কে. এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।

 

আগামী ১৮ মে সকাল ১০টায় তাদের আদালতে থাকতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বন রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থলের ছবি তুলে তা ওই দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

শনিবার (৬ মে) প্রকাশিত সম্পাদকীয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ মো. সোহেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস-আল-হারুনী।

আইনজীবী শেখ মো. সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক নির্মাণের অজুহাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে তালগাছসহ অন্যান্য যেসব গাছ উপড়ে ফেলা হচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারকে তলব করা হয়েছে।

ওই পত্রিকার প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির আরও অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবাহান হাওলাদারের নির্দেশে এসব গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। সড়কের পাশে যাঁরা এসব তালগাছ রোপণ করেছেন, তাঁরা ইউপি চেয়ারম্যানের ভয়ে মুখে কিছু না বললেও ভেতরে-ভেতরে ক্ষোভে ফুঁসছেন। ’

ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় ও বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে তালগাছ রোপণ করার জন্য প্রচার চালানো হলেও জনপ্রতিনিধিরা তা মানছেন না। শুধু তাই নয়, প্রকৃতিপ্রেমী সাধারণ মানুষের স্বেচ্ছায় লাগানো তালগাছগুলোও তাঁরা রক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। উল্টো কেউ কেউ সেগুলোর ক্ষতিই করছেন। বীজ থেকে পরিপূর্ণ গাছ হতে দীর্ঘ সময় লাগে একটি তালগাছের। ফলে অনুমতি নিয়েও তালগাছ কাটার কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়। সেখানে অনুমতি ছাড়াই এতগুলো তালগাছ এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু কারও কোনো খবর হলো না? এসব গাছ বাঁচাতে বন বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসনসহ কেউই এগিয়ে এল না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালামের বক্তব্য উদ্বৃত করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে। তিনি বলেছেন, ‘গাছ কাটার প্রয়োজন হলে সে জন্য নিয়মনীতি রয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে বন আইনে মামলা দেওয়া হবে। ’(বাংলানিউজ)

আরও পড়ুন