• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ, ২০২৩
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৩



রায়পুরে গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিরোধীয় জমি থেকে গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় মামুন মিয়া নামে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনায় মামুনের ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল রায়পুর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে রাছেল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সুমন হোসেন ও রাজন হোসেন নামে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সময় তারা বাদীকেও মারধর করেছে।

বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা নেওয়ার জন্য রায়পুর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্দেশনা কপি থানায় পাঠানো হবে।

অভিযুক্ত রাসেল ও আনোয়ার উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের চর পাঙ্গাসিয়া গ্রামের তছলিম মিয়ার ছেলে এবং সুমন ও রাজন একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।

বাদী সুমন চর পাঙ্গাসিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। আহত মামুন উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেশায় প্রাইভেটকার চালক।

এজাহার সূত্র জানায়, সুমনদের সঙ্গে অভিযুক্তদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্তরা বিরোধীয় জমি থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি করই গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে বাধা দেওয়ায় তারা সুমন ও মামুনকে এলোপাতাড়ি পেটায়। একপর্যায়ে ধারালে কুড়াল দিয়ে মামুনের নাকে কোপ দেয়। এতে তার নাকে জখম হয়। একপর্যায়ে সুমনকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আশপাশের লোকজন এসে তাদেরকে রক্ষা করে। ঘটনার সময় সুমনের পকেটে থাকা ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইলফোনসেট অভিযুক্তরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ভূক্তভোগীদের হত্যাসহ লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আহত অবস্থায় সুমন ও মামুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরমধ্যে মামুনের নাকে জখম অংশে ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আনোয়ারসহ অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তার আত্মগোপনে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন