নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেধাবী শিক্ষার্থী এমরান হোসেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় ভাসছেন। নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব মিষ্টি ও ফুল নিয়ে তার বাড়িতে ছুটে গেছেন।

বাড়িতে গিয়ে এমরান ও তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন এডভোকেট বিপ্লব। পরে এমরানের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। একজন আরেকজনকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন।

এমরান জানিয়েছে, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস নিজ কার্যালয়ে তাকে ডেকেছেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে ইউএনওর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার।

এমরান হোসেন মোবাইলফোনে বলেন, আমি হয়তো সশরীরে সবার সঙ্গে কোচিং করতে পারিনি। আমি অনলাইনে কোচিং করেছি। অনলাইনে কোচিং অনেক মানসম্মত। যারা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে আমি গরীব-অসহায় মানুষের সেবা করতে চায়।

এমরান লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার ভ্যানচালক মো. ইউসুফের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রহমত উল্যাহ বিপ্লব বলেন, এমরানের মতো মেধাবীরাই আগামিতে দেশের সুনাম বয়ে আনবে। তার বাবা-মা আজ গর্বিত। তাদের সন্তানের নাম এখন লক্ষ্মীপুর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের অন্তরে গেঁথে গেছে। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনায় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।

প্রসঙ্গত, রোববার (১২ মার্চ) মেডিকেলে ভর্তির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ৪৭৯তম স্থান অর্জন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এমরান।