রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণে তিনজন মারা যাওয়ার ক্ষত এখনও শুকায়নি। এর দুদিন পরই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গুলিস্তান। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকালে গুলিস্তানে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে গত চারদিনে চারটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ৫১ জনের মৃত্যুর পর বছর না ঘুরতেই গত শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন-গ্যাস উৎপাদন কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত হন সাতজন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ওইদিন ভোরে রাজধানীর গুলশানে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হন দুজন। তাদের মধ্যে গোপাল মল্লিক নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এর আগেও দেশে অনেক ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৭ জুন রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণে আশপাশের অনেক ভবন কেঁপে উঠে। গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে ওই বিস্ফোরণ হয় বলে তদন্তসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। এর আগে গ্যাসলাইন লিক থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে নারায়ণগঞ্জে।
২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে ইমামসহ ৩১ জন প্রাণ হারান। গত ২ ফেব্রুয়ারি ভাটারায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। গত ডিসেম্বরে মিরপুরে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আরিয়ান নামে ১৪ বছরের এক কিশোর মারা যায়। ১২ জানুয়ারি সাভারে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়ে সাদিয়া নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্রয়লার মুরগির খামারে বায়োগ্যাসের ট্যাংক বিস্ফোরণে জুবায়ের নামে এক যুবক নিহত হন। ১৮ অক্টোবর যশোরের অভয়নগরে সেমি অটো রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত হন। ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগের বউবাজার এলাকায় মেট্রো এক্সপ্রেস কুরিয়ার সার্ভিস ডিপোতে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে একজন নিহত হন।
৭ আগস্ট রাজধানীর তুরাগ থানার রাজাবাড়ী এলাকায় রিকশার গ্যারেজে কেমিক্যাল বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. আলম নামে একজন মারা যান। ১৫ অক্টোবর রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইন কবরস্থান রোডে তিতাস গ্যাসের লাইনে কাজ করার সময় বিস্ফোরণে পাঁচ শ্রমিক দগ্ধ হন।
আপনার মতামত লিখুন :