• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭ মার্চ, ২০২৩
আপডেট : ৭ মার্চ, ২০২৩



রামগতির কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে রামগতি উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলা হল রুম মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাহিদ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশিস মজুমদার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদার উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ফারুক।

এসময় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বক্তব্য দেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রের সামনে যে যুগান্তকারী ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। লক্ষাধিক স্বাধীনতাকামী জনতার সামনে বঙ্গবন্ধু তার ১৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের অসামান্য ভাষণে শোষক পাকিস্তান সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।বিশাল জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।” এ ভাষণকে প্রায়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের ঐতিহাসিক গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, “যেহেতু আমরা রক্ত দিতে শিখেছি, আমরা আরও রক্ত দেব। ইনশাআল্লাহ, এদেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়ব…ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলব। তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে (শত্রু) মোকাবিলা কর।” সেদিন বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ভাষণ জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করেছিল, যা সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তার স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে রামগতি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন