• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫ মার্চ, ২০২৩
আপডেট : ৫ মার্চ, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার নামে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় হোটেল ব্যবসায়ী

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করায় হোটেল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক পুলককে বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকুর বিরুদ্ধে। চন্দ্রগঞ্জ বাজারে প্রতিবাদ সভার নামে মাইকে আমাদের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে রিংকু। এনিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে জানিয়েছেন বাদী পুলক।

এরআগে পুলক বাদী হয়ে চাঁদার দাবিতে তার ভাই ফয়সাল ফরহাদকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা রিংকুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (চন্দ্রগঞ্জ) আমলী আদালতে এ মামলাটি করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আহাম্মদ ফেরদৌস মানিক বলেন, বিচারক আনোয়ার হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

অভিযুক্ত রিংকু সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক। অন্যরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল, পারভেজ খান আকাশ ও অজ্ঞাত ৫ জন।

ওমর ফারুক পুলক বলেন, মামলা করার পর থেকেই রিংকু বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে। বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রতিবাদ সভার নামে মাইকিং করে আমাদের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় রিংকু। একই সঙ্গে আমাদের হোটেলে লোকজন ঢুকলে বড়ধরণের ক্ষতি করবে বলে মাইকে প্রচারণা চালানো হয়। তারা সংঘবদ্ধ, তারা আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন টিটোর মোবাইলফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকু বলেন, মুজাহিদুল ইসলাম নামে এক সাবেক শ্রমিককে হোটেলের ব্যবস্থাপক জসিম মারধর করে। বিষয়টি আমাকে জানালে আমি প্রতিবাদ করি। এতে হোটেল মালিক ফরহাদ আমাকে গালমন্দ করে। বাধ্য হয়ে তাকে থাপ্পড় দিয়েছি। চাঁদা দাবির ঘটনা মিথ্যা। এছাড়া তাদেরকে কোন ধরণের হুমকি দেওয়া হয়নি।

মামলা সূত্র জানায়, রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুবলীগ নেতা রিংকু একটি প্রোগ্রামের জন্য বাদী ফারুকের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। পরদিন বেলা ১১ টার দিকে রিংকুসহ অভিযুক্তরা ফারুকের ভাই ফরহাদকে হোটেলের সামনে এসে মারধর করে। এসময় প্রকাশ্যে তাকে জবাই করার হুমকি দেয় রিংকু। পরে স্থানীয়রা রিংকুর হাত থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আহত ফয়সাল ফরহাদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের শ্রমিক হোটেলের মালিক ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী। যুবলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে রিংকু তার লোকজন নিয়ে এসে হোটেলে খেয়ে যেত, টাকা দিত না। এরপরও বিভিন্ন প্রোগ্রামের অজুহাতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে একাধিকবার নিয়েছে।

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর