
রামগঞ্জ সংবাদদাতা: রামগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবত ইটভাঁটির মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের কালো থাবায় বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি । অপরদিকে মাটি আনা নেওয়ায় নিষিদ্ধ ট্রলি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়ন। এতে জনদূর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রশাসন ফসলি জমির টপসয়েল কাটা ও জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে পুকুর খনন এবং অবৈধ ট্রলি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা মানছে না কেউ।
প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদেরকে অবৈধ ট্রলি ও ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কঠোর নির্দেশ দিলেও জনপ্রতিনিধিরা উল্টো অবৈধ সুবিধা পেয়ে অথবা অযোগ্যতার কারনে নিস্কিয় রয়েছে৷ কোন কোন জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি এর সাথে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে৷ ফলে ইটভাটার মালিক, মাটি ব্যবসায়ী ও অবৈধ ট্রলি মালিক সমিতি কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে সাধারন জনগনের আস্থার আশ্রয়ের স্থল প্রশাসনের প্রতি আস্থা সংকট তৈরী হয়।
খোদ ৬নং লামচর ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজ উল্যাহ জিসান ক্ষোভ থেকে তার ফেইসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেন “অবৈধ ট্রলি মালিক সমিতি কর্তৃক মাসিক আদায় কৃত ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা কাদের পকেটে যায় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কে আইনের আওতায় এনে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হোক তখনই প্রমাণিত হবে আমরা কারা ট্রলি বন্ধ করার পক্ষে”
৩ নং ভাদুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন জানান, আমি ভাদুর ইউনিয়নে অবৈধ ট্রলি বা মাটি কাটা বন্ধে অটল আছি থাকবো। তবে বার বার বিভিন্ন রাজনীতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধে খুব সমস্যা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :