নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার দায়ে ২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এক মেট্রিক টন ইলিশ স্থানীয় ২৬টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস ভ্রাম্যমাণ আদলতের মাধ্যমে জেলেদের জরিমানা করেন।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে মৎস্য বিভাগ নদীতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভিযানে যায়। এ সময় ভোলার দিক থেকে দুটি নৌকা কমলনগরের দিকে আসছিল। উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকার অদূরে নদীর মাঝের চর এলাকায় নৌকা দুটি থেকে ২০ জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া প্রায় এক মেট্রিক টন ইলিশ স্থানীয় ২৬টি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুছ জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রথম দিন ২০ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় ও তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। আটক জেলেরা কমলনগরসহ ভোলা ও নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, ইলিশের অভয়াশ্রম হওয়ায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এতে নদীতে মাছ ধরা, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :