• ঢাকা
  • সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে ‘যুবলীগ নেতাকে হুমকি’

গ্রামীণ কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা মো. সবুজকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে মামলাটি তুলে নিতে অভিযুক্ত সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়ালসহ অন্যরা সবুজকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চররমনী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক সবুজ।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।

অন্য অভিযুক্তরা হলেন, চেয়ারম্যানের ছেলে আবু সুফিয়ান ছৈয়াল, কাজল ছৈয়াল ও ইয়াকুব ছৈয়াল।

১৪ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সবুজের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আশিকুর রহমান বলেন, ’অভিযোগটি আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন আমলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় এফআইআর দাখিল করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, চেয়ারম্যানের সঙ্গে সবুজদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জেরে গত শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইউনিয়নের উত্তর চররমনী মোহন গ্রামের ছোট ব্রিজ এলাকায় লোকজন নিয়ে সবুজের ওপর হামলা করে চেয়ারম্যানের ছেলে ও তার সহযোগীরা। এ সময় সবুজকে পিটিয়ে জখম করে তারা। মারধর সহ্য করতে না পেরে সবুজ পাশের খালে ঝাঁপ দেন। সেখান থেকে তুলে এনে তাকে ফের মারধর করে হামলাকারীরা। পরে সবুজকে মৃত ভেবে হামলাকারীরা চলে যায়। ঘটনার সময় সবুজের স্ত্রী ও ছয় মাসের সন্তান আলিফা সঙ্গে ছিল। খবর পেয়ে সবুজকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে তাকে ঢাকার নিউ লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন সবুজকে বাড়িতে রাখা হয়েছে।

সবুজ বলেন, ‘ইউছুফ ছৈয়ালের নির্দেশেই তার ছেলেরা আমার ওপর হামলা করেছে। আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী মামলা করেছে। এখন মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। আমি পরিবার নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’

অভিযুক্ত আবু সুফিয়ান ছৈয়াল বলেন, ‘সবুজকে কারা মারধর করেছে তা আমার জানা নেই। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। হয়রানির উদ্দেশ্যে আমার বাবাসহ আমাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।’

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। তবে সবুজকে মারধরের ঘটনার পরদিন চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘আহত সবুজ আমার ভাতিজা। তার চিকিৎসার সব খরচ আমি দেব বলেছি। মারধরের সময় আমার ছেলেসহ অন্যরাও ছিল।’

লক্ষ্মীপুর থানার ওসি বলেন, ’আদালতের নির্দেশ পেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরও পড়ুন