• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩



রামগতিতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

গ্রামীণ কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে প্রভাত ফেরিতে গিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার রামগতি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজনের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখা যায়।

বিএনপির সাবেক এমপি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মীর আক্তার হোসেন বাচ্চুর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুবদল নেতা মো. ইসমাইল, নুরুল আমিন নোমান, মাহবুবুর রহমান নয়ন, মো. হৃদয়, ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন, আরিফ হোসেন ও বিএনপি কর্মী মো. জুয়েলসহ ১০ জন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের বানী ভবানী রায় কামেশ্বরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে থাকা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান নেতাকর্মীরা। এ সময় সাবেক এমপি নিজান ও বিএনপি নেতা বাচ্চুর সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে উভপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয় এলাকার বাইরে রামগতি বাজার এলাকায় আসলে বাচ্চুর সমর্থকরা নিজানের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অভিযুক্ত বাচ্চু চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।

রামগতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন বলেন, টানা দুই বার বাচ্চু আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে জাতীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। এতে তাকে নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি। এ কারণেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তিনি আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। এতে আমাদের ৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাইফুলের হাত ভেঙে গেছে। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু বর্তমান কমিটিতে আমাকে সদস্যও রাখা হয়নি। আশরাফ উদ্দিন নিজানের অনুসারী না হওয়ায় আমাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সকালে প্রভাত ফেরিতে গেলে আমার লোকজনের সঙ্গে নিজানের কর্মীদের হাতাহাতি হয়। আমি উপস্থিত হয়ে সবাইকে বুঝিয়ে নিয়ে এসেছি। বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটতে দেইনি। ওই পক্ষ মামলা করলে আমিও মামলা করবো।

রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু কোনো পক্ষই কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে রামগতি উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে বাচ্চু সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তাকে কোনো পদে রাখা হয়নি। এ নিয়ে তখন থেকেই উপজেলা বিএনপিতে প্রকাশ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। নতুন কমিটিতে বিএনপির সাবেক এমপি (লক্ষ্মীপুর-৪ আসন) আশরাফ উদ্দিন নিজানের অনুসারীরাই পদ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন