• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীকে হত্যায় যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পরকীয়া প্রেমিক ইউসুফ ও স্ত্রী রিনা বেগমকে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম খলিল (৪০) নামে এক ব্যক্তির আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। পেশায় তিনি ইটভাটার কর্মী ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক ইউসুফ অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। বাড়িতে এসে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ইব্রাহিম তাদের হত্যা করে। আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গিয়ে ইব্রাহিম পলাতক আছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম ফেনীর একটি ইটভাটার কর্মী ছিলেন। রামগতি চরলক্ষ্মী গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে ইউসুফ ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এতে প্রায়ই ইউসুফ তার বাড়িতে যেতেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনার সঙ্গে ইউসুফের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

২০১৭ সালের ৩ জুন ইফতারের সময় ইউসুফ ওই বাড়িতে যান। ফেনী থেকে ইব্রাহিম বাড়িতে এসে রিনা ও ইউসুফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম দুজনকেই ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে তছলিমা বেগম স্বামী ইউসুফকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে মারা যান। পরদিন তছলিমা বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা করেন।

এছাড়া আহত অবস্থায় রিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। নোয়াখালীর সুধারাম থানায় নিহতের মা জানু বেগম একটি জিডি করেন। এদিকে হত্যা দুটি একই ঘটনা হওয়ায় ১১ জুন মামলাটি রামগতি থানার মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। গ্রেফতার ইব্রাহিমকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন৷

একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহম্মদ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন