• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩



তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ১১,২২৪

গ্রামীণ কণ্ঠ

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা একটি বিশাল ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। উদ্ধারকারীরা আটকে থাকা জীবিতদের কাছে পৌঁছাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা বলেছেন, তুরস্কে ৮ হাজার ৭৫৪ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৪৭০ জন মারা গেছে। মোট সংখ্যা ১১ হাজার ২২৪ জন।

ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। ১০টি প্রদেশকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে বিধ্বংসী ভূমিকম্প এবং বেশ কয়েকটি আফটারশকের আঘাতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।

চারপাশে ধসে পড়েছে অসংখ্য ভবন। সেগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে যাচ্ছে অনেকে। সেই আকুতি কানে এলেও অনেক ক্ষেত্রেই কিছুই করতে পারছে না মুক্ত আকাশের নিচে থাকা স্বজনরা। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানের গতকাল মঙ্গলবারের সাধারণ চিত্র ছিল এটি।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা এক নারী সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর আকুতি লোকে শুনতে পারলেও উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। দানিজ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তারা শব্দ করছে, কিন্তু (উদ্ধারে) কেউ আসছে না।

তুরস্ক ও সিরিয়ার জরুরি বিভাগের কর্মীরা প্রাণপণে উদ্ধার অভিযানে ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশ থেকেও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী। তবে তুরস্কে তীব্র শীত ও তুষারে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। অন্যদিকে সিরিয়ায় যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চলছে খুব ধীরগতিতে। তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষজন এখন খাদ্য ও শীতের পোশাকের অভাবে ভুগছে। অনেকের বাড়িঘর ধসে পড়েছে। আবার বাড়ি অক্ষত থাকলেও অনেকে পরাঘাতের ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছে না। এতে তীব্র শীতের মধ্যেও বাইরেই থাকতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে। দুর্গত মানুষের আশ্রয়ের জন্য তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে তিন লাখের বেশি তাঁবু সরবরাহ করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘এটি এখন সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা এখন আহত ও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জরুরি চিকিৎসাদলের নেটওয়ার্ক সক্রিয় করেছি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। সংস্থার কর্মকর্তাদের অনুমান, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে। এই ভূমিকম্পে মোট দুই কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। সূত্র : এএফপি

আরও পড়ুন