ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় পশ্চিম ইলিশায় শশুর বাড়ি থেকে লিমা আক্তার (১৮) নামের এক নববধূ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার ওই নববধূর শশুর ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নববধূকে উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা চলছে।
পালিয়ে যাওয়া নববধূ লিমা আক্তার একই উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের মো. লোকমান মালের মেয়ে। ২১ দিন আগে ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের বেচু মাঝি বাড়ির মো. ফয়েজ উদ্দিন মাঝির ছেলে মো. মিরাজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর প্রেমিক ফরহাদ পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মো. কালু মাঝির ছেলে।
থানা ও নববধূর শশুর ফয়েজ উদ্দিন জানান, ২১ দিন আগে লিমা আক্তারের সঙ্গে মিরাজের পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। গত ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ ঘুমাতে গেলে তাঁর ব্যবহ্নত লেপের মধ্যে একটি মোবাইল ফোন দেখতে পায়।
জানাযায়, স্বামী ও শশুর বাড়ির সকলের অগোচরে লিমা ওই ফোন ব্যবহার করে প্রেমিক ফরহাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো। পরে ওইদিন ভোর রাতেই নববধূ শশুর বাড়ির সকলের অগোচরে ঘর থেকে প্রেমিক ফরহাদের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
নববধূর শশুরের দাবি, তাঁর পুত্রবধূর সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মিরাজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেয়। এ বিয়েতে মেয়ের মত না থাকলেও সেটি ছেলের পরিবারকে তারা কিছুই বুঝতে দেয়নি।
তবে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে নববধূর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ের সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেটি তাঁরা জানতেন না। মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পর্কেও তাদের ধারণা ছিল না।
সাধারন ডায়েরী তদন্তকারী কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাটির তদন্ত করছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নববধূকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন ফকির বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছে নববধূর শশুর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :