• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়িতে যুবকের মৃত্যুতে মামলা

গ্রামীণ কণ্ঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে হারুনুর রশিদ হারুনের (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তার স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী ও শাশুড়ি খুকি বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সন্ধ্যায় রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত হারুনের বোন জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেফতার দুজন এজাহারভুক্ত আসামি। অপর আসামি মো. জুয়েল পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হারুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের নবীগঞ্জ এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে হারুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সকালেই মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহতের পারিবারের অভিযোগ, প্রায় পাঁচ মাস আগে পাশের চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের মনছুর আহম্মদের মেয়ে বৈশাখীর সঙ্গে হারুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর আগ থেকেই অন্য ছেলের সঙ্গে বৈশাখীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এতে বিয়ের পর তিনি হারুনের সঙ্গে বাজে আচরণ করতেন।

স্বজনরা আরও অভিযোগ করেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হারুন তার শ্বশুরবাড়িতে শ্যালিকার জন্মদিনের দাওয়াত খেতে যান। সেখানে তার ভায়রা জুয়েলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয়। রাত ৩টার দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের হারুনের মৃত্যুর সংবাদ দেন। হারুনকে তার ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছেন। পরে তার মরদেহ বাড়ির পাশের বাগানের একটি গাছে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে চান। হারুনের কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

আরও পড়ুন