এবার প্রেমের টানে ফিলিপাইন থেকে লক্ষ্মীপুরে ছুটে এসেছেন যোয়ান ডিগুসমান লেগুমবাই নামে এক তরুণী। নিজের জন্মভূমি ছেড়ে, ধর্ম ত্যাগ করে প্রেমিক নাঈমকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়েও করতে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নববধূকে দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী গ্রামে প্রেমিক নাঈমের বাড়িতে গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হয়। সেখানে বিদেশি ওই তরুণীকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।
শুক্রবার দুপুরে শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) নাঈমের বাড়িতে আসেন ফিলিপাইনের ওই তরুণী। মো. নাঈমুর রশিদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী।
জানা যায়, নাঈমুর রশিদ মালয়েশিয়ায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাধে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ফিলিপাইনের আরনেসতা লেগুমবাই ও ইমেলদা লেগুমবাই দম্পতির মেয়ে যোয়ান ডিগুসমান লেগুমবাইয়ের। পরিচয় থেকে শুরু হয় তাদের প্রেম। আর সেই প্রেমের টানে নিজের ধর্ম বদলে বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই তরুণী। খ্রিস্টান ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করে নতুন নাম রেখেছেন নাজিফা রশিদ আমিরা।
নাঈম জানান, গত ৮ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। এর মধ্যে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্তে ছুটি নিয়ে আসেন বাংলাদেশে। নিজের এবং ওই তরুণীর বাবা-মায়ের সম্মতিতে তাকে বিয়ে করবেন। ছুটি শেষে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন।
তরুণী জানান, বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারছেন। বাংলাদেশের খাবার ও এখানকার সংস্কৃতি তার খুব পছন্দ। বাংলাদেশে তার স্থায়ী বসবাসের ইচ্ছে আছে।
নাঈমের স্বজনরা জানান, উভয় পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। ফিলিপাইনের ওই তরুণী আসার পর থেকে সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলছে। এখানকার খাবার তার খুব পছন্দ। তাকে দেখতে বাড়িতে ছুটে আসছেন মানুষ। সে ইংরেজিতে কথা বলে, মাঝে মাঝে কিছু কথা বাংলায়ও বলতে পারে।
লক্ষ্মীপুরের ছেলের সঙ্গে ফিলিপাইনের মেয়ের বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। কৌতূহলী মানুষ ছুটে আসছেন তাদের এক নজর দেখতে। এ নিয়ে গত ৬ মাসে প্রেমের টানে ভিনদেশি পাঁচ তরুণী এসেছেন লক্ষ্মীপুরে।
আপনার মতামত লিখুন :