প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কুতুবদিয়ায় স্বাভাবিক সঞ্চালন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব না হওয়ায় সাবমেরিন কেবল ব্যবহার করা হয়েছে।
এটি ব্যয়বহুল হলেও শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে সরকার এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে বলে জানিয়েছেন পিডিবির কর্মকর্তারা।
২১৫ বর্গকিলোমিটার দীর্ঘ কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রায় দুই লাখ মানুষের বাস। ২০০৫ সাল থেকে সেখানে দুটি জেনারেটরের মাধ্যমে উপজেলা সদরসহ কিছু এলাকায় স্বল্প সংখ্যক গ্রাহককে সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালে ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
গত বছরের নভেম্বরে নোয়াখালীর হাতিয়ায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বর্তমানে দ্বীপটির প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে কুতুবদিয়ায় দুই কিলোমিটার বিতরণ লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ নিতে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত রিভার ক্রসিং টাওয়ারের মাধ্যমে ৩৩ কিলোভোল্ট ওভারহেড লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশে ফাইবার অপটিকসহ ৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সাবমেরিন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :