নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েকজন একটি দলছুট হরিণ জবাইয়ের পর মাংস ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফরিদ নিজেই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুপুরে চরগাজীর বয়ারচর এলাকায় হরিণটি জবাই করা হয়।
হরিণ জবাইয়ের খবর পেয়ে রামগতির তেগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল যান। তারা প্রথমে হরিণের মাংস জব্দ করেন। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে মাংসগুলো রেখে আসেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে হরিণটি দলছুট হয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ থেকে নদীতে ভেসে দুর্গম একটি চরে চলে আসে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাতে রামগতির বয়ারচরে কে বা কারা ওই হরিণটি নিয়ে আসে। পরে সেটি ইউপি সদস্য ফরিদের বাড়িতে রাখা হয়। শুক্রবার সকালে হরিণটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বয়ারচরের মীর বাজার এলাকা থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় সিরাজ মাঝির বাড়িতে নিয়ে হরিণটি জবাই করেন। পরে ইউপি সদস্য ফরিদ, তার সহযোগী মুকিত মাঝি ও আকবর হোসেনসহ কয়েকজন মাংস ভাগাভাগি করে নিয়ে যান।
মুঠোফোনে কল করে তেগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নির্মলের সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হরিণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে তার ক্যাম্পে গেলে তিনি বলবেন বলে জানিয়ে লাইন কেটে দেন।
চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, হাতিয়ার ভূঁইয়ারহাট এলাকার আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি কয়েকটি হরিণ লালন পালন করছেন। তার খামার থেকে একটি হরিণ পালিয়ে রামগতির বয়ারচর এলাকায় আসে। কুকুরের কামড়ে হরিণটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়রা হরিণটি ধরে জবাই করে দেয়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, শুনেছি হরিণটিকে কুকুরে কামড়িয়েছে। এতে স্থানীয়রা হরিণটি জবাই করে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
লক্ষ্মীপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফিরোজ আলম বলেন, হরিণ জবাই করা অপরাধ। পুলিশ যেহেতু ঘটনাস্থলে গিয়েছে সেহেতু তারা মাংসগুলো জব্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারতো। এ বিষয়ে আমি খোঁজ নেবো।
আপনার মতামত লিখুন :