• ঢাকা
  • সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২ এপ্রিল, ২০২৩
আপডেট : ২ এপ্রিল, ২০২৩



সভাপতির দেওয়া লক্ষ্মীপুর শ্রমিক লীগের কমিটি বাতিল করলেন সম্পাদক

গ্রামীণ কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। এতে আফতাব উদ্দিন বিপ্লবকে আহবায়ক করে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। বিপ্লব সদস্য প্রয়াত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে।

 

এদিকে রোববার (২ এপ্রিল) সকালে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু এক চিঠিতে রাতে বিপ্লবকে আহ্বায়ক করা ওই কমিটি বাতিল করেন। চিঠিতে পূর্বের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইউছুফ পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব বেল্লাল হোসেন কারীর কার্যক্রম বহাল রাখা হয়। বলা হয়, যথাসময়ে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হবে।

 

আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কেন্দ্র থেকে ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ৬ মাসের জন্য জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ইউছুফ পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও বেল্লাল হোসেন কারীকে সদস্য সচিব করা হয়। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরপর এ কমিটির নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

 

সবশেষ শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। এতে আফতাব উদ্দিন বিপ্লবকে আহ্বায়ক করে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে জাকির হোসেন পাটোয়ারীসহ ৩৩ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়। নতুন কমিটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি (লক্ষ্মীপুরের সন্তান) তোফায়েল আহমেদ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খান সিরাজুল ইসলাম।

 

ইউছুফ পাটোয়ারী বলেন, বিতর্কিত তোফায়েল আহমেদ পকেট ভারি করার জন্য বাণিজ্য শুরু করেছেন। তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বহু অভিযোগ রয়েছে। লক্ষ্মীপুরে তোফায়েল আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। দলকে তৃনমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করার জন্য আমরা কাজ করছি।

 

এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কোনো সভা-মিটিংয়ে আসেন না। আমরা ২৮ নেতা সভাপতির পক্ষে। লক্ষ্মীপুর আমার জেলা, সেখানের নতুন কমিটির জন্য বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা। সাধারণ সম্পাদক কোন কমিটি বাতিল করতে পারেন না।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা বলেন, শ্রমিক লীগে কোন সাংগঠনিক শৃঙ্খলা নেই। কেন্দ্রীয় নেতারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সই জাল করে। সভাপতি একদিকে থাকলে, সাধারণ সম্পাদক অটো অন্যদিকে অবস্থান নেন।

 

কে এম আযম খসরু বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্রে বলা আছে সভাপতি কমিটির জন্য সুপারিশ করবেন। আমি অনুমোদন দেবো। কিন্তু অনিয়মতান্ত্রিকভাবে টাকার বিনিময়ে লক্ষ্মীপুরে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলের মধ্যে বিভাজন করার জন্য এটি করা হয়। সাংগঠনিক পদাধিকার বলেই আমি তা বাতিল করে আগের কমিটি বহাল রেখে চিঠি দিয়েছি।

 

নুর কুতুব আলম মান্নান বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য কার্য নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ততে আমি নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছি। ৬ মাসের জন্য এটি করা হয়। এতে কমিটির এক সহ-সভাপতি ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশ ছিল।

আরও পড়ুন