• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩



১২৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার কিশোর

গ্রামীণ কণ্ঠ

তুরস্কে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানার পঞ্চম দিনেও ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে প্রাণের স্পন্দন। উদ্ধারকারীদের প্রাণপন চেষ্টায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত লোকজনের সন্ধান মিলছে। যেন অলৌকিকভাবে উদ্ধারের ঘটনা আজ আরও বেশি ঘটছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সোমবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তুরস্কে আজ আরও এক কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ার পাঁচ দিনের বেশি সময় পর তাকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের হতায়ে প্রদেশের ধ্বংসস্তূপের নিচে ১২৮ ঘণ্টা পর জীবিত এক কিশোরের সন্ধান মিলেছে। উদ্ধারকারীরা ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরকে ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করেছেন।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত একটি অঞ্চলে শনিবার উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছেন দেশি-বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা। শনিবার সকালের দিকে আরদা ক্যান ওভুন নামের ওই কিশোরকে ধসে পড়া একটি ভবনের নিচ থেকে স্ট্রেচারে করে উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, একই দিনে অর্থাৎ শনিবার তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের ধসে যাওয়া একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৭০ বছর বয়সী মেনেকসে তাবাক নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ওই নারীকে উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পাঁচ দিনের বেশি সময় পর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন মাসাল্লাহ সিসেক নামের অপর এক নারীও। ৫৫ বছর বয়সী এই নারীকে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর দিয়ারবাকির একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শনিবার।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৬৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো থেকে তুরস্কে মোট ৩১ হাজার জন উদ্ধার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ভূমিকম্পে আহত আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।

ফুয়াত ওকতে বলেছেন, এক বছরের মধ্যে এসব গৃহহীন মানুষের স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভূমিকম্পের ক্ষত ভুলে যান।

গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে শতাধিক আফটারশক হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

কয়েক দশকের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।

আরও পড়ুন