ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা নর্থ-২ এ গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় ভোলা নর্থ-২ এর নতুন কূপ খনন শেষে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্বলন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৩ হাজার ৫২৮ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে আগুন প্রজ্বলন করা হয়েছে।
আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এ কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টার পর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো এ কূপে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যূৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৫ ডিসেম্বর ভোলা নর্থ-২ এর কূপ খনন কাজ শুরু করা হয়। ৩ হাজার ৪২৮ মিটার গভীরতায় সফলভাবে কূপ খনন কার্যক্রম শেষ হয় ১৭ জানুয়ারি। সোমবার এ কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। চূড়ান্ত প্রোডাকশন টেস্টিং শেষে এ কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন হার নির্ণয় করা হবে।
তবে কমবেশি ২০ এমএমএসসিএফডি হারে গ্যাস উৎপাদনের বিষয়ে বাপেক্স আশাবাদী বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান।
বিদ্যূৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুসারে চালাতে হবে। ২০২২-২৫ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬ টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
অফসোর ও অনসোরে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ব্রুনেইসহ গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি চুক্তির প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
নতুন করে তেল-গ্যাস পাওয়া গেলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয়। এতে জেলাগুলোর শিল্পায়ন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাস আবিষ্কার হয়। পর্যায়ক্রমে সেখানে ৫ টি ও জেলার আরও ৩ টি স্পটে কূপ খনন করে বাপেক্স। চলতি বছর জুলাইয়ে আরও ১ কূপ খনন করবে সংস্থাটি।
এছাড়া জেলার চরফ্যাশন থেকে নিঝুম দ্বীপ পর্যন্ত ১২ এলাকায় গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ভূ-কম্পন বা সিসমিক জরিপ করবে বাপেক্স। সেখানেও বিপুল পরিমাণ গ্যাস পাওয়া আশা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
আপনার মতামত লিখুন :