• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে ছেলের খুনিদের ফাঁসি চেয়ে মায়ের আজাহারি

গ্রামীণ কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরে শ্বশুর বাড়িতে নিহত হারুনুর রশিদ হারুনের খুনিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে প্লাকার্ড হাতে রাস্তায় নেমেছেন তার গর্ভধারিণী মা কহিনুর বেগম। এসময় ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় তাকে আহাজারি করতে দেখা গেছে।

হত্যার ঘটনায় পুত্রবধু আমেনা আক্তার বৈশাখী ও তার শাশুড়ি খুকি বেগম এবং ভায়রা জুয়েলকে দ্বায়ী করে তাদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ছেলে হার এ মা।

হারুন হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে জেলার সদর উপজেলার রসূলগঞ্জ বাজারে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে হারুনের মা কহিনুর বেগম, বাবা আবদুল মান্নান, বোন জোৎস্না বেগম ও শান্তা আক্তার ও ভাই রিয়াজ হোসেন বক্তব্য রাখেন। এসময় বার বার কান্নায় মূর্চা যান তারা।

-পুরুষসহ সহস্রাধিক লোকজনের অংশ গ্রহণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রসূলগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি তমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ব্যবসায়ী স্বপন পাটওয়ারী, সফি মাহমুদ নিজু, আবদুল মতিন, নিয়াজ, হান্নান হোসেন বাবুসহ স্থানীয় লোকজন।

বক্তারা বলেন, হারুন একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সে রসূলগঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ছিল। স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে তাকে খুন করা হয়েছে। তার ভায়রা জুয়েল, স্ত্রী বৈশাখী, শাশুড়ি খুকি বেগম ও শ্বশুর মনছুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখে। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

হারুনের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমার বৌ-এর পরকীয়া ছিল। অন্য ছেলের সাথে তার গোপন সম্পর্ক থাকার কারণে আমার ছেলের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন খুনি। আমি তাদের ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য, জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরবংশী গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় হারুনুর রশিদ হারুনের (৩৩) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তার মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে শ্বশুর বাড়ির একটি বাগান থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এসময় তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করে পুলিশ।

এদিন দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। হারুনের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায় হারুনের বোন জোৎস্না বেগম বাদি হয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রায়পুর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে হারুনের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৈশাখী (১৯), শাশুড়ি খুকি বেগম (৪৮) এবং ভায়রা জুয়েলসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় স্ত্রী এবং শাশুড়িকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তারা এখন কারাগারে আছেন। হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী হারুনের ভায়রা জুয়েলকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

হারুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রসুলগঞ্জ ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের নবীগঞ্জ এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস ব্যবসায়ী ছিলেন।

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর