নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামকে ছয়মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তাদের মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
একই সঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত মামলার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ বিএনপির এ দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আক্তারুজ্জামান ও ব্যারিস্টার এজাজ কবীর প্রমুখ।
জামিন আদেশের পর বিএনপি নেতাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, হাইকোর্ট শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও আবদুস সালামকে ছয়মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আদেশ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় জামিনে মুক্তিতে বাধা নেই।
তিনি জানান, গত ৫ জানুয়ারি মহানগর দায়রা জজ আদালত বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। আদেশের কপি পাওয়ার পর তাদের পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ছয়মাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। এরপর ৯ জানুয়ারি আটক হওয়ার ৩২ দিন পর কারামুক্ত হন তারা।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৮ ডিসেম্বর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে বিএনপির এই নেতাকর্মীরা কারাগারে রয়েছেন। তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্যাহ আমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :